শুধুমাত্র যারা মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে এসএমএস পাবেন তাদেরকেই মোবাইল সিমকার্ডের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচিত গ্রাহকদের এই এসএমএস পাঠানো হবে।
তারানা হালিম জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোবাইল সিম নির্ধারণের জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরদের গ্রাহকদের সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিতে বলা হয়েছে। গ্রাহকদের তথ্য কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে মিলিয়ে দেখবে। রেজিস্ট্রেশনে কোন ভুল তথ্য বা গ্রাহকের আদৌ জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কিনা তা যাচাই শেষে মোবাইল অপারেটরদের অবহিত করা হবে। যার ভিত্তিতে গ্রাহকদের এসএমএস পাঠাবে মোবাইল অপারেটররা।
এরে আগে গত রোববার মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের নতুন করে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া তিন মাস চলবে এবং যারা এরইমধ্যে একবার রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদেরকে যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
২০১২ সালের ১১ অক্টোবর থেকে মোবাইল ফোন অপারেটররা ‘প্রি-একটিভ’ সিম (আগে থেকেই চালু) বিক্রি করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। কেউ নিবন্ধনহীন সিম ব্যবহার করলে প্রতিটি সিমের জন্য অপারেটরকে ৫০ ডলার করে জরিমানা করারও সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। তবে তিন বছরেও তা কার্যকর হয়নি।
বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১২ কোটি ৮৭ লাখ।

Post a Comment

Previous Post Next Post